খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থদের ওপর দায়ের করা মামলার নিন্দা জানিয়ে ‘মার্চ ফর কুয়েট কর্মসূচি’র সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যৌক্তিক দাবির পক্ষে আন্দোলন করার অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা ও সুরক্ষা নিশ্চিত থাকা উচিত। কিন্তু কুয়েট উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদদে স্থানীয় একটি পক্ষকে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে- যা গণতান্ত্রিক আদর্শের পরিপন্থী।’
তারা আরও বলেন, ‘কুয়েটের উপাচার্যের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রশাসনিক অপব্যবহার ও দমননীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ওপর যে নিপীড়নের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে, তা একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের প্রতিচ্ছবি। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলা চালানোর সময় সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও উপাচার্যের স্পষ্ট অসহযোগিতা সেই উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দায় উপাচার্য এড়াতে পারেন না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের অধিকার হরণ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলার আশ্রয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা শিক্ষার পরিবেশকে আরও সংকটময় করে তোলে। এই বাস্তবতায় ‘MARCH FOR KUET’ কর্মসূচির প্রতি আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা পূর্ণ সংহতি ও সমর্থন জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার এবং নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা একাত্ম।’
যদি কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া না হয়, তবে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা সারাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একত্র হয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি ও কঠোর গণআন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে বিবৃতিতে জানান শিক্ষার্থীরা।
খুলনা গেজেট/এইচ/জেএম